পুলিশের রাইটার রফিকের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগে মামলা
ডেস্ক রিপোর্ট: মোবাইলে প্রেমের প্রস্তাব অতঃপর বিয়ের দাবি না মানায় ক্ষুদ্ধ হয়ে মাস্তান নিয়ে কথিত প্রেমিকার বাড়িতে হামলা করার অভিযোগ উঠেছে। বসত বাড়ি ভাঙচুর তছনছ ও বিয়েতে রাজি না হলে অপহরণ করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। নির্যাতিত পরিবার এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে চুরির অভিযোগে নামমাত্র একটি মামলা নিয়ে দায় সেরেছে পুলিশ।
আলোচিত প্রেমিকের নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি আশাশুনি উপজেলার কুল্যা গ্রামের মৃত আনছার আলী হাওলাদারের ছেলে। বর্তমানে শহরের মুনজিতপুর গ্রামের শ্বশুর হারাণ সরদারের বাড়িতে থাকেন। তিনি পুলিশের রাইটার।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, পলাশপোল মধুমল্যার ডাঙ্গীর (কোর্টের পিছনে) ভাড়া বাড়ির বাসিন্দা মইনুদ্দীন ইসলামের ভায়রার বন্ধু ছিল বখাটে রফিক। এরই জেরধরে পারিবারিক সম্পর্ক এবং যাওয়া আসার এক পর্যায়ে মিতুলের স্ত্রী এক সন্তানের জননী জেসমিন পারভীনের (২৫) দিকে কু-নজর পড়ে রফিকের। সুদূর প্রসারি পরিকল্পনা নিয়ে রফিক মোবাইলে বিভিন্ন সময়ে জেসমিনের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। জেসমিন তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় রফিক আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। শেষ পর্যন্ত প্রেম নয় তাকে বিয়ে করতে হবে এমন জবরদস্তির এক পর্যায়ে জেসমিন বিষয়টি তার স্বামী মইনুদ্দীন ইসলাম কে জানায়। এতে রফিক ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৯ নভেম্বর জেসমিনের ভাড়া বাসা জজকোর্টের পশ্চিম পার্শের বাড়িতে দিন দুপুরে কয়েকজন বন্ধু মাস্তান নিয়ে হামলা চালায়। এসময় বাড়িতে রক্ষিত আলমারির গ্লাস ভাঙচুরসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র তছনছ করে। তাকে বিয়ে না করলে অপহরণ করা হবে বলে আস্ফালন করে চলে যায় তারা। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় রফিকসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে সদর থানায় এজাহার দাখিল করলে পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে। এক পর্যায়ে ঘটনার কয়েকদিন পর কয়েক দফে এজাহার পরিবর্তন শেষে ৯ ডিসেম্বর সদর থানায় দঃ বিধির ৪৪৮.৪২৭.৩২৩ ও ৩৮০ ধারায় মামলা রেকর্ড করা হয়। নামমাত্র মামলা নিলেও পুলিশ আসামিকে পূর্ব সখ্যতার জেরধরে গ্রেপ্তার করেনি। এমনকি বাদীর সহয়তায় মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই নাজমুল আসামি রফিককে গ্রেপ্তার করে ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে রফিক আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে বাদীকে অপহরণ করার হুমকি দিচ্ছে বলে তিনি জানান।
অভিযোগ রয়েছে, রফিক একজন বখাটে, একাধিক বিবাহের নায়ক, কোর্টের মুহুরী, সদর থানায় কর্মরত দারোগাদের সোর্স ও রাইটার হিসেবে কাজ করে থাকে। বর্তমানে ডিবি পুলিশের আওতায় রাইটারের কাজ করে যাচ্ছে। সে ইতোপূর্বে সদর থানায় কর্মরত এসআই আব্দুস সবুরের বিশ্বস্ত রাইটার ছিল। বিগত ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে আকর্ষিক মৃত্যুর পর সরলতার সুযোগ নিয়ে তার ল্যাপটপসহ বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাত করে মোটর সাইকেল ক্রয়সহ বিলাসিতার জীবন যাপন করছে। বিষয়টি জানাজানির পর থানা থেকে বিদায় করা হয় বখাটে রফিককে। বর্তমানে সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের একজন দারোগার রাইটার হিসেবে দায়িত্বে থাকায় তাকে কেউ কিছুই করার ক্ষমতা রাখে না বলে শ্বাসিয়ে চলেছেন তিনি।