মৃন্ময় মÐল কখনো কি কবিতা গাঁথে মালা ভুল ফুলে? কবিতার নন্দন ঠোঁটে চন্দনগন্ধী সুবাতাস জানি বিছিয়ে দেয় ফাগুন দোলানো চঞ্চলতা তবে কেনো বসন্তপাখি ভেজাচোখে ডানা ঝাপটাই? কবিতা কি কামুক চোখে ছিঁড়ে খায় কিশোরী শরীর? কবিতা কি মিথ্যাচার? কবিতা কি অত্যাচার? কবিতা কি নষ্টসময় বয়ে বেড়ায় পাখায় পাখায়? কবিতা কি উলঙ্গ...

ডালিয়া পারভীন বিবেক বর্জিত নগ্নতার কোলে শুয়ে কালো প্রচ্ছদে আকটে যাচ্ছে ব্যভিচার চিন্তাকর্ষক উচ্ছন্নতা। কুরুচিপূর্ণ কালশিরে কলুষিত অন্ত্যজ ব্যক্তিত্বের উৎক্ষেপণে নিমজ্জিত নিন্দিত ভাবনা। অভিরুচির মলমাখা যৌবনের অযাচিত অযৌক্তিক ইচ্ছের বলি শুভ্রতার আগন্তুক পুষ্পচয়না। আনন্দের বিপরীত বিপর্যায়ে দূরারোগ্যে প্ররোচিত বিপর্যস্ত সমাজের আভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা। আধুনিকতার হেরেমে নির্ঘণ্ট উস্কানিতে অশ্লীল শ্লীলতাহানির দিগবিদিক নির্লজ্জতা।...

স ম তুহিন ভীষণ রোদ তাকানো যাচ্ছিল না না সূর্যের দিকে না তোমার দিকে। বইয়ের দোকানে চকচকে মলাটের বইগুলো নিঃসংকোচ দীপ্ত চাহনী নিয়ে কাঁচের সেলফে আঁটকে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল আমি একবার তোমার দিকে একবার চকচকে মলাটগুলোর দিকে তাকাচ্ছিলাম আমি দু’দিকেই মনোযোগী ছিলাম সমান- ‘তিন পয়সার জ্যোৎস্না’ আমার বুকের মাঝে...

  বিমল কৃষ্ণ রায় অস্তিত্বে বৈশাখ নিয়ে নগ্ন পাঁয়ে হাঁটি ক্রমান্বয়ে হাঁটতে থাকি মিনারের দিকে। এ মিনার স্মৃতির প্রতীক, শক্তির প্রতীক বুকের ভেতর শোকের পতাকা, বেদনার ব্রীজ। দু’চোখে আগুন আর স্বাপদের প্রতি ঘৃণায় মুষ্ঠিবদ্ধ হাত, এখানে সবাই প্রতিজ্ঞায় অটল। মিনারের পাদদেশে এভাবেই কেটে যায় শীতের সকাল, শ্রদ্ধা,শোক ও শপথে উজ্জ্বল...

হারুণ রশিদ বুকের সূবর্ণ রেখা মুছে গেছে বহুকাল স্মৃতির আগাছায় ভরা জীবনের আ’ল পথে হেটে যাই নিঃসঙ্গ বসন্ত বাতাস কোথা থেকে ভেসে আসে পাতাঝরা দুপুরের রোদ? শিমুলের রাঙ্গা বুকে প্রেমহীন ধুলোর করাত কার কপালের রক্তে ভাসা পাথর-দেয়াল, নড়ে ওঠে? বেসামাল বর্ণমালার সুখ মুখ গোজে হারানো হিয়ায়? পলাশীর আম্রকাননে আজও মুকুলের...

শুভ্র আহমেদ যে ঢেউগুলো এখন হারিয়ে গেছে তাদের মনে পড়ে সেই পথগুলো মনে পড়ে যে পথে একদিন হেঁটেছিলাম, পাশাপাশি কতদিন বিক্ষিপ্ত ছোটাছুটি পুরানো যত পদধ্বনি সেসবের পুনরাবৃত্তি তার লুটিয়ে পড়া সেদিনের আঁচলে ভেঁজামুখ মুছতে আরো বেশি জলের দ্রবণ জলজ বিকেল হলো আরো একবার। আজ অটোবায়োগ্রাফি লিখছি শুধু সে পড়বে তাই...

রওশন রুবী শব্দ করো না, নিঃশব্দতা পছন্দ করে হৃৎপিÐও; তরতাজা বৃষ্টি আজ বরফের আসমান, থমকে আছে উষ্ণতার জন্য; ইঙ্গিত পেলেই পোড়া প্রকৃতি, মানুষের উপর নেমে আসবে ইস্রাফিলের তাÐব। জেনে রাখো তার জন্য অপেক্ষার তসবিহ পাঠ করা আঙুল, আপন আমার। শব্দ করো না, নিঃশব্দতা পছন্দ করছে বিবেক; তাই ঘুমহীন চোখ ভাবুক।...

কাজী রুনা লায়লা খানম জলসিঁড়ি ভেঙে ভেঙে এসেছিল অমার্জিত রাত নারীর অমৃত বুকে মায়াবী চাঁদ উঠলে জন্মান্ধ কবিও নাকি জ্যোৎস্না স্তোত্র লিখে দিতে পারে সকাল গিয়েছে মিশে উদাসীন পথের ধূলায় শ্রান্ত দুপুরগুলো ধুয়ে গেছে লবণাক্ত জলে চলে যেতে যেতে পিছু ফিরে পড়ন্ত বিকেল তোমার চোখেই যদি নীড় খোঁজে! তুমিই তো...

  পত্রদূত ডেস্ক: জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেছেন, বই মানুষকে আলোর পথ দেখায়। বই মানষের উত্তম বন্ধু। গ্রন্থাগার হোক পাঠকের মিলনমেলা। গ্রন্থাগারে যত বেশি বই পড়বে ততবেশি ভাল মানুষ তৈরি হবে। আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে গ্রন্থাগার বাতিঘর হিসেবে কাজ করে। ‘গ্রন্থাগারে বই পড়ি আলোকিত মানুষ গড়ি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি...

সুভাষ চৌধুরী দেশ জুড়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন তখন তুঙ্গে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায়। বিরোধী দল আওয়ামী লীগের ১৪৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগ তখন ক্ষমতাসীনদের জন্য এক বড় ধাক্কা। সরকারি দল চায় উপ নির্বাচন। আর বিরোধী দল চায় তত্ত¡াবধায়ক সরকার। সালটা ১৯৯৫। চারদিকে মিছিল মিটিং সমাবেশ। কখনও হরতাল, কখনও অবরোধ। পেট্রল পাম্প...

এসএম শহীদুল ইসলাম ২৬ বছরে পা রাখলো কোটি পাঠকের প্রাণের পত্রিকা ‘দৈনিক পত্রদূত’। আজ ২৩ জানুয়ারি দৈনিক পত্রদূত’র ২৬তম জন্মদিন। দৈনিক পত্রদূত আজ এগিয়ে চলেছে আগামীর স্বপ্নালোকিত পথে আলোর মিছিল জ্বেলে। রজত জয়ন্তীর এই শুভ লগ্নে সকল পাঠক, লেখক, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক, এজেন্ট, বিক্রয়কর্মী, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি হৃদয়ের গহীন...

মো. আনিসুর রহিম ১৯৯৫ সালের ২৩ জানুয়ারী থেকে আজ ২০১৯ এর ২৩ জানুয়ারী। দীর্ঘ ২৫ বছর পার করে ২৬ বছরে পদার্পন। সাংবাদিকতা ও পত্রিকা প্রকাশনায় সে আমলে সাহসী আর ত্যাগী মানুষ ছাড়া অন্য কেউ আগ্রহী বা উদ্যোক্তা হওয়ার কথা ভাবতেন না। সাংবাদিকতার জগতে দুই শ্রেণির মানুষের বিচরণ ছিল। স. ম....

সুভাষ চৌধুরী লাল রংয়ের সেই লেটার বক্সটি এখন আর নেই। কেউ চিঠি ফেলতে আসেও না এখানে। দেয়ালের গায়ে খাড়া হয়ে লটকে থাকা লেটার বক্সটি কবে যে নিউজ বক্সে পরিণত হয়েছে তাও মালুম করা কঠিন। সেই সাথে হারিয়ে গেছে থ্রী সেভেন ফাইভ (৩৭৫) নম্বরের টেলিফোনটি। আড্ডা গল্পবাজি আত্মীয়তা সবই যেনো উঠে...

দূরতমা তুমি, আলো-আঁধারীর দীপ অগোচরে রাখো, মায়ামৃদঙ্গ টান, শুনবে কে এই, পরাস্থ আখ্যান! কুয়াশা পরুক দুর্বোধ্যতার টিপ Í   আড়ালে থাকুক, মন-কেমনের ক্ষতি আঁচলে জমুক, তারা খসার দৃশ্য কে গেল শীর্ষে হয়েছে কে বা নি:স্ব বলেনি সে কথা, ফুল-পাখি প্রজাপতি   ফুলগুলি কথা, পাতা তার নীরবতা, পুঞ্জিত স্মৃতি, নৈ:শব্দ্য ধরে...

বড্ড অহংকার হয় আজকাল রংচটা পুরাতন জামাটা দেখে। নিষ্কৃতি পায়নি আজো সেই যে এসেছিলো অসময়ের পালটা জবাব দিতে, আজও প্রতীক্ষিত।   মাঝে মাঝে মনে হয় ছুটে যাই তোমার কাছে দুদ- বিশ্রামের বড় প্রয়োজন।   চিন্তাশক্তিগুলো এলোমেলো তবুও অহংকার বোধ মাথাচাড়া দেয় কৃষ্ণকলির মতোই।   সেদিন যখন ছিলাম নিরস, ক্ষেত্রহীন সেদিন...